মনের দুয়ার খুলে

[অবসরের পর অফিসের পত্রিকার জন্য বাবার লেখা গল্প।]

৩১শে মার্চ ২০১৫। সবে শেষ হয়েছে দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর একমাস বারোদিন বিস্তৃত জীবনের এক পর্ব। ফেলে এলাম কর্মজীবন, সামনে রইলো শুধুই অখণ্ড অবসর। দপ্তরে বিদায় সম্ভাষণের পর নিকট সহকর্মীরা চলেছেন পরিবারের কাছে আমাকে পৌঁছে দিতে। দপ্তরকে পিছনে রেখে পথ যতই এগিয়ে চলেছে বাড়ির উদ্দেশ্যে, মন যেন ততই চলতে চাইছে পিছনের দিকে।

সেটাও ছিল মার্চ মাস, তবে সালটা ১৯৮২। সদ্যই দীর্ঘ এগারো মাস ট্রেনিং শেষ করে পেশাগত জীবনে প্রথম ফিল্ড করতে এসেছি রাজস্থানের উদয়পুর জেলার একাংশে। পশ্চিমাঞ্চলের সদর দপ্তর জয়পুর ছেড়েছিলাম আরও চারমাস আগে – অর্থাৎ ডিসেম্বর ১৯৮১। সে সময়ে অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে এক জায়গার কাজ শেষ করে, তাঁবু গুটিয়ে পরবর্তী জায়গায় আবার তাঁবু লাগিয়ে ভূ-তাত্ত্বিক মানচিত্র আঁকার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হতো। এবার তাঁবু লাগিয়েছি ঝুঁন্ত্রি নামে ছোট্ট এক গ্রামের লাগোয়া এক একাকী টিলার উপরে। এ গ্রামেই কুয়ো থেকে মিলবে পানীয় জল, পাশের গ্রামেই আছে সদর দপ্তরের সঙ্গে চিঠিপত্রে যোগাযোগ করবার জন্য গ্রামীণ ডাকঘর আর সপ্তাহের হাটের দিনে শাকসব্জি। টিলার সামনে দিয়েই যে ধূসর পথের রেখা ডাইনে-বাঁয়ে প্রসারিত, তাতে একটি যাত্রীবাস বেশ দূরের মফঃস্বল শহর কোজাভারায় দিনে একবার যাতায়াত করে. কাজেই সবদিক বিবেচনা করে ঝুঁন্ত্রি গ্রামের সেই টিলাই হলো আমার পরবর্তী একমাসের ঠিকানা। ট্রেনিং চলাকালীনই বিয়ে হয়েছিল – সঙ্গে তাই মমতা।

সকালে কাজে বের হওয়ার আগে প্রাতরাশের জন্য আর কাজ শেষে ফিরে প্রায় বিকেল নাগাদ আহারে বসতাম তাঁবুর চিকঘেরা ছোট্ট জায়গায়। টিলার উপরে তখন বইতো শীতল, মনজুড়োনো হাওয়া। অথচ দুপুরে পাথুরে জমি মার্চ মাসের দাবদাহে তৈরী করত অসহ্য গরম, চিকের বাইরে দৃষ্টিতে সবকিছুই লেলিহান গরমে কম্পমান। সকালে বা বিকেলে চিকের বারান্দায় বসলে দৃষ্টি অনেকটাই অবারিত। কেবল সামনে কিছু দূরে আড়াআড়ি ভাবে প্রসারিত আরাবল্লীর নাতি উচ্চ, রুক্ষ এক পাহাড়ের শিরা। সে পাহাড়ের ঢালে আর শিরা বরাবর ছড়ানো ছিটানো ঘর নিয়ে আরও একটা গ্রাম। তুলনায় বড় ঝুঁন্ত্রি তাঁবুর পিছনের দিকে হওয়ায় সাধারণত দৃষ্টির আড়ালে রয়েই যেত। চিকের বারান্দায় বসে বাম দিকে কোনাকুনি তাকালে নজরে আসতো শীর্ণ এক মজা নালা বাস চলবার পথটাকে ভিজিয়ে দিয়ে একদিক থেকে আরেকদিকে বয়ে চলে আর পথেই সবুজ প্রাণের সঞ্চার করে লালন করছে এক সবুজ বক্ররেখা। সেই একমাত্র আশ্রয়ে দিনভর নাচানাচি করত কিছু কাদাখোঁচা পাখি। টিলার উপরে চিকঘেরা বারান্দায় বসে চরাচরের দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করে আমরা দুজন যখন নিজেদের এই পটভূমির একমাত্র দ্রষ্টা মনটাকে নিরুদ্দেশে ছুটি দিতাম তখনই হয়তো ঘুঘু পাখির অলস করা ডাক আবার আমাদের সম্বিৎ ফিরিয়ে দিতো। এ ভাবেই মানচিত্র তৈরির কাজের সঙ্গেই মগ্ন রয়েছি রাজস্থানের রুক্ষ প্রকৃতির মাঝেও তার রূপ ও রসকে উপলব্ধি করতে।

এক সন্ধ্যেয় আমাদের কাছে এক বৃদ্ধ ধীর, গাম্ভীর্যপূর্ণ পদক্ষেপে তাঁবুর পিছনের দিক থেকে এলেন। আলাপচারিতায় তিনি আমাদের এ হেন এক অখ্যাত গ্রামে এমনভাবে তাঁবু বাসের উদ্দেশ্য, আমাদের আদত নিবাস, সঙ্গে দৈনিক মজুরিতে কর্মরত ছেলেদের বৃত্তান্ত ইত্যাদি সবই জানলেন। নিজেকে ঝুঁন্ত্রি গ্রামেরই এক বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে জানালেন তিনি আমাদের তাঁবু খাটাবার দিন ইস্তক পর্যবেক্ষণ করবার পর কৌতূহল বশতঃ-ই আজ এসেছেন আলাপ করতে। বিদায়ের জন্যে উঠে তিনি জানতে চাইলেন এ গ্রামে আমাদের কোনো রকম অসুবিধা আছে কি না। তাঁবু ফেলবার জন্য সরকারী টিলা, পাশেই জলের কুয়ো, নজরের মধ্যেই ঝুঁন্ত্রি গ্রাম, অনতিদূরে হাট আর ডাকঘর, সারাদিনে একবারের জন্য হলেও মফঃস্বল শহরের সঙ্গে বাসে যোগাযোগ – এর বেশি ভূ-তাত্ত্বিকের আর কী প্রয়োজন? তবুও বৃদ্ধকে জানালাম আমিষাশী হয়েও একনাগাড়ে শুধুই শাকসব্জি খাওয়ার অসুবিধার কথা।  নিরুত্তর বৃদ্ধ যেমন ধীর পায়ে এসেছিলেন তেমনই ধীর পায়ে গ্রামের দিকে ফিরলেন। একটু বাদে সন্ধ্যে নামলে তাঁবুতে লণ্ঠন পৌঁছতে এসে রান্নার ছেলেটা জানালো বৃদ্ধকে গ্রামে সকলে ঠাকুরসাহেব বলে সম্বোধন করে এবং তিনি গ্রামের সকলেরই মাননীয়, শ্রদ্ধেয়।

রবিবার, সাপ্তাহিক ফিল্ডের ছুটি, মমতার সঙ্গে চিকের বারান্দায় সকালে বসে রয়েছি। যথাসময়ে কোজাভারাগামী যাত্রীবাসটা টিলার নীচে এসে থামলো। যাত্রীদের ওঠা-নামা দেখছি। জিনিসপত্র বাসের ছাদে ওঠানো-নামানো চলছে। নজরে এলো একটি মাঝ বয়েসী লোক বেশ দৌড়েই আমাদের তাঁবুর দিকে আসছে। সে অত্যন্ত দ্রুত টিলার ঢাল বরাবর উঠে এসে তাঁবুর চিকের মাটিতে একটা পুঁটুলীতে কিছু একটা নামিয়ে রেখেই যেমন দ্রুত এসেছিল তেমনই আবার বাসের দিকে ফিরে গেলো। বাস রওনা দিল।  আমরা হতবাক বসেই রইলাম। লোকটিকে ভালভাবে নজর করবার ফুরসতও পেলাম না।  রান্নার ছেলেটিকে ডেকে বললাম পুঁটুলীতে কী আছে খুলে দেখতে। ভিতর থেকে বের হলো বেশ কয়েকটা মুরগির ডিম।  কে ওই অচেনা লোক, কেনই বা সে মুরগীর ডিম রেখে গেলো – কিছুই বুঝলাম না।  রান্নার ছেলেটিকে বললাম ডিম আবার আগের মতই পুঁটুলীতে বাঁধতে।

ধন্দ কাটলো সন্ধ্যেয় কোজাভারা ফিরতি বাস ঝুঁন্ত্রি পৌঁছলে। দেখা গেলো লোকটি এবার স্বাভাবিক গতিতে টিলার ঢাল ভেঙে আমাদের কাছে আসছে। লোকটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো এ গ্রামের ঠাকুর-সাহেব লোক মারফৎ পাশের গ্রামে তাকে খবর পাঠিয়েছিলেন আমাদের জন্য ডিম পাঠাতে। ফের বাস ধরবার তাগিদে সে আমাদের সকালে এ কথা বলবার সুযোগ পায় নি।  মনে পড়ে গেলো কয়েকদিন আগেই ঠাকুরসাহেবকে নাগাড়ে শাকসব্জি খাওয়ার অসুবিধের কথা জানিয়েছিলাম। ঠাকুরসাহেব আর এই লোকটির প্রতি কৃতজ্ঞতায় আমাদের মন ভরে উঠলো। ইতিমধ্যেই বাস ঝুঁন্ত্রি ছেড়ে দেওয়ায় এই অতিথিপরায়ণ লোকটিকে সন্ধ্যের অন্ধকারেই হেঁটে গ্রামে ফিরতে হবে।  সে দিনের প্রাপ্য দাম নিয়ে সে জানালো এবার থেকে সে নিজেই আমাদের ডিমের প্রয়োজনের খবর রাখবে।

দেখতে দেখতে দোলের সময় এগিয়ে এলো।  শুক্লপক্ষ চলছে। প্রতিদিন চাঁদ একটু একটু আরও পূর্ণতা পাচ্ছে। জ্যোৎস্না ক্রমেই আরও মায়াবী হয়ে উঠেছে। সামনের পাহাড় শিরায় যে ছোট্ট গ্রামটা সেখান থেকে প্রতি সন্ধ্যেয় ঢোলের বাদ্যির সঙ্গে গ্রামবাসীদের আনন্দোচ্ছাস ভেসে আসে।  চরাচরকে জ্যোৎস্নায় ভিজতে দেখি আর দিন শেষে কর্মক্লান্ত গ্রামবাসীদের আসন্ন হোলি উৎসবের প্রস্তুতির আঁচ পাই ঢোলের আওয়াজে। সন্ধ্যেয় মন জুড়ানো শীতল হাওয়ায় দেখতে পাই জ্যোৎস্নালোকিত জলজ উদ্ভিদ মৃদু মৃদু দুলছে। আমাদের শোওয়ার তাবু, রান্নার তাঁবু, স্নানের তাঁবু, চৌকিদারের তাঁবু সব নীলচে সাদা মায়াবী রং মেখে এখানে-ওখানে। সামনের পাহাড় শিরার প্রতিটি কুটির, প্রসারিত বাস চলাচলের পথটা সবই উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায় দৃশ্যমান। সে দৃশ্য শুধু অনুভব করা যায়, ব্যাখ্যা করা কঠিন। সে রাতে যেন নেশার ঘোর নিয়েই তাঁবুতে ঢুকলাম। ভেসে আসা ঢোলের বাদ্যি শুনতে শুনতে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম।

ভোরবেলা আধো ঘুমে আবারও সেই ঢোলের আওয়াজ। তাঁবুর ছোট্ট জানলার পর্দা ফাঁক করে দেখতে পেলাম বাইরে ছাই রঙা আকাশ। তখনও ভোরের আলো ভালো করে ফোটেনি। এবার ঢোলের আওয়াজ যেন আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্রমেই যেন সে আওয়াজ আরও কাছে এগিয়ে আসছে। উৎসুক হয়ে বিছানা ছেড়ে তাঁবুর বাইরে বের হয়ে এলাম। অবাক কান্ড। সামনের পাহাড়ের ছোট্ট গ্রামটির ছেলেমেয়েরা ঢোলের সঙ্গে নাচতে নাচতে, গাইতে গাইতে টিলার ঢাল বেয়ে আমার তাঁবুর দিকেই এগিয়ে আসছে। তাড়াতাড়ি মমতাকে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম। সেই আধো আলো – আধো অন্ধকার ভোর রাতে দুজনে উপভোগ করলাম নির্মল আনন্দে মাতোয়ারা প্রাণচঞ্চল দেহাতি মানুষদের উচ্ছাসভরা নাচগান। স্থানীয় ভাষায় গানের কথা না বুঝলেও তাদের সম্মিলিত সুর, নাচের তাল, মুক্ত ফোয়ারা বুঝিয়ে দিল বসন্ত আজ এসেছে আমাদের আঙিনায়। চৌকিদারের সঙ্গে আলাপ করে সামান্য কিছু অর্থ ওদের একজনের হাতে দিলাম। ওরা যেমন গাইতে গাইতে, নাচতে নাচতে ঢোল বাজাতে বাজাতে এসেছিল, তেমনই আবার নিজেদের গ্রামের দিকে রওনা দিল।  ততক্ষনে আকাশ ফর্সা হয়ে এসেছে।

সকাল আর একটু গড়ালে ঠাকুর সাহেব এলেন। ওঁনাকে ভোরের আশ্চর্য অভিজ্ঞতার গল্প বললাম। তিনি জানতে চাইলেন অর্থের জন্যে কোনও জুলুম হয়েছে কি না।  আমি জানালাম সামান্য অর্থে আমি সারাজীবন স্মরণীয় অভিজ্ঞতার অধিকারী হয়েছি। উনি বললেন ঐ অর্থে হয়তো গোটা দলটিই গুড় কিনে মিষ্টি জল খাবে। ভাবতে অবাক লাগলো এতো অল্পেই ওঁরা এত তুষ্ট। ঠাকুর সাহেব জানালেন সন্ধ্যেয় ঝুঁন্ত্রি গ্রামে হোলি উৎসব, আমাদের সে উৎসবে আমন্ত্রণ জানাতেই ওঁনার আগমণ। চৌকিদারকে নির্দেশ দিয়ে গেলেন সে যেন আমাদের উৎসবে নিয়ে যায়।

বিকেলে গিয়ে দেখলাম গ্রামের মধ্যস্থলে ফাঁকা জায়গায় সব গ্রামবাসী একত্রিত হয়েছে। তিনটি মাত্র কাঠের চেয়ার রাখা হয়েছে। একটি ঠাকুর সাহেবের, বাকি দুটি আমাদের দুজনার। উৎসব উপলক্ষ্যে মহিলারা রঙীন ঘাগরা, চেলি, ওড়না আর ভারী ভারী রুপোর গয়নায় সেজেছে। রুক্ষ প্রকৃতির ধূসরতার মাঝে সে সব রঙ আরও রঙীন হয়ে নজর কাড়ছে। বুঝলাম মহিলারা মমতার অনবগুণ্ঠিত মুখ দেখে খুবই বিস্মিত। পুরুষরা পরিষ্কার ধুতি-জামা আর বিশাল রঙীন পাগড়ীতে সজ্জিত। ঠাকুর সাহেবও সযত্নে রঙীন পাগড়ি লাগিয়ে অত্যন্ত গম্ভীর, ধীর পায়ে নিজের চেয়ারটিতে এসে বসলেন। মহিলারা কুণ্ঠাহীন স্বরে, এক সঙ্গে গান গাইতে লাগলেন। তাদের সমবেত গানের সুর ছোট্ট গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে উম্মুক্ত প্রান্তরে মিলিয়ে গেল, গ্রামের সবাই ঠাকুর সাহেবের সঙ্গে আমাদের দুজনকেও প্রণাম করলো। ঘরে পেষা গম আর ঘরেরই তৈরী ঘি-এ বানানো একরকম হাল্কা মিষ্টি, সঙ্গে পাঁপড়ভাজা খাওয়া হলো।

হোলীর দিন কয়েক বাদে, সেই ঝুঁন্ত্রি গ্রামেই হাতে পেলাম আমার কলকাতা বদলীর আদেশ। খবরটা ঠাকুরসাহেবকে দেব ভেবে গ্রামে গিয়ে শুনলাম তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জাওয়ার-এ এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়ে রয়েছেন। মনটা ভারী হয়ে উঠলো। যে বৃদ্ধ বিদেশ-বিভূঁইয়ে এই দম্পতির সুবিধা-অসুবিধা, ভাল-মন্দের ভার স্বেচ্ছায় নিয়েছিলেন তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানবার একটা শেষ সুযোগও কি পাব না?

তাঁবু গুটিয়ে মালপত্র সব ট্রেনে জয়পুরের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে গাড়িতে জয়পুরের দিকে রওনা দিলাম। সরকারী গাড়ি আমাদের উদয়পুর রেল স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। বাকি পথ পাড়ি দেব রেলে। উদয়পুর স্টেশনে যাওয়ার পথে সরকারী গাড়িতে গেলাম জাওয়ারের সেই হাসপাতালে। অনেক জিজ্ঞাসা আর খোঁজের পর হাজির হলাম ঠাকুর সাহেবের বিছানার পাশে। তাঁকে জানালাম আমি ঝুঁন্ত্রি ছেড়ে কলকাতায় নিজের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি বদলীর আদেশ পেয়ে। তিনি অনেক কষ্টে এক হাত তুলে আমাদের দু’জনকে আশীর্বাদ করলেন। ওঁনার চোখেও তখন কৃতজ্ঞতা আর বিচ্ছেদবেদনা।

চিন্তায় ছেদ পড়ল রজকবাবু আমার বাড়ির সামনে গাড়ি রাখতে। অফিসের ব্যাগটা হাতে নিয়ে শেষবারের মতো অফিসের গাড়ি থেকে নামলাম বাড়ির গেটে। সহকর্মীদের হাতে রয়েছে অফিস থেকে পাওয়া পুষ্পস্তবক, মিষ্টির প্যাকেট, স্মারক উপহারের ঘড়িটা।

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s